জুয়েল চৌধুরী ॥ চুনারুঘাটে দুধপাতিল গ্রামে অন্তঃসত্তা প্রেমিকা তামান্না আক্তার (১৮)-এর হত্যার ঘটনার মুলহোতা প্রেমিক আলমগীর (২২) কে ২৪ ঘন্টার ভিতরে পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে প্রেরন করলে হত্যার ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী প্রদান করেছে সে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ নাজমুল হাসান তাকে আদালতে প্রেরন করলে সে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দী প্রদান করে। এর আগে গত বুধবার রাতে দুধপাতিল থেকে আলমগীরকে গ্রেফতার করে। সে ওই গ্রামের আবুল হাসিম মিয়ার পুত্র তামান্নার আপন চাচাত ভাই। আলমগীরের জবানবন্দীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায় তামান্নার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে তারা গোপন অভিসারে মিলিত হত। এক পর্যায়ে যুবতী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে ঘাতক আলমগীরকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এতে আলমগীর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭ অক্টোবর তামান্নাকে শ^াসরোদ্ধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের পাশ^বর্তী একটি হাওর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের আব্দুল হান্নানের মেয়ে। পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার থেকে নিহত তামান্নাকে খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছিল না, রাতভর খোঁজা-খুজির পর-পরদিন সকালে গ্রামের পাশ^^বর্তী একটি হাওরে তার বিবস্ত্র লাশ দেখতে পান তারা। পরে চুনারুঘাট থানায় খবর দিলে এসআই মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে। পরে এসআই শেখ আজহার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরন করেন। এ ঘটনায় ওই যুবতির পিতা আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওসি আরও জানান, এই মামলায় এক মাত্র আলমগীরই আসামী। আপাতত তদন্ত সমাপ্ত।